নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘ন্যাশনাল টি’ কোম্পানি লিমিটেড, ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো), ইফাদ অটোস এবং কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেডসহ দশটি কোম্পানি তাদের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে মুনাফায় বড় ধরনের উত্থান দেখিয়েছে ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেড এবং ডেসকো। এছাড়াও মুনাফা বেড়েছে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও হাওয়ালে টেক্সটাইল বিডির। বিপরীতে মুনাফা কমেছে কনফিডেন্স সিমেন্ট, ইফাদ অটোস, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার এবং ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের।
লোকসান থেকে মুনাফায় ফিরেছে সাফকো স্পিনিং মিলস লিমিটেড। আরও বেশি লোকসানে পতিত হয়েছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকে ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ২১ পয়সা। আগের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩০ পয়সা। শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ১৮ গুণ। তাতে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৮ টাকা ৬৬ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে আয় ছিল ২ টাকা ৪১ পয়সা। অর্থাৎ, মুনাফা বেড়েছে প্রায় চারগুণ।
ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) লিমিটেডের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৩৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ৫ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ, ৭ গুণের বেশি ইপিএস বেড়েছে।
তাতে চলতি বছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে অর্থাৎ ২০২১ সালের জুলাই-ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫১ পয়সা। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩১ পয়সা। অর্থাৎ, দুই প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ২০ পয়সা।
অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে ইপিএস ১ টাকা ৩৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ১ টাকা ১৩ পয়সা লোকসান ছিল। প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১২ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ২ টাকা ২৬ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
হাওয়ালে টেক্সটাইল বিডির দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৭৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭২ পয়সা। ছয় মাসে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৭৪ পয়সায়। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ, ৪৪ পয়সা ইপিএস বেড়েছে।
তবে একই সময়ে কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেডের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৪৫ পয়সা। যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৫৭ পয়সা। চলতি বছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫ টাকা ৭৭ পয়সা। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬ টাকা ৯৬ পয়সা। অর্থাৎ মুনাফা কমেছে।
ইফাদ অটোস লিমিটেডের ইপিএস হয়েছে ৫৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ৯৮ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ, মুনাফা কমেছে ৪২ পয়সা। প্রথম দুই প্রান্তিক শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫৭ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৬৬ পয়সা।
লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেডের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ৪১ পয়সা আয় হয়েছিল। বড় ধরনের মুনাফা কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ছিল ৯ পয়সা।
ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমসের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ২৭ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ, ইপিএস কমেছে। প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২৮ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ছিল ৭৪ পয়সা।
এছাড়াও লোকসান কমে দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফায় ফিরেছে সাফকো স্পিনিং মিলস লিমিটেড। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এই প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ২ টাকা ৩৪ পয়সা। গত ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৪ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৪ টাকা ৪৩ পয়সা।
স্টাইল ক্রাফট লিমিটেডের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ১৫ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে ৮৯ পয়সা লোকসান হয়েছিল। অর্থাৎ লোকসান বেড়েছে। দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ২০ পয়সা। যা গত বছরের একই সময়ে ১ টাকা ৮ পয়সা।
নিজস্ব প্রতিবেদক: বড় ধরনের দরপতনের মধ্য দিয়ে গেলো সপ্তাহ পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ১২ হাজার কোটি টাকার ওপরে কমে গেছে। সেই সঙ্গে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক ও লেনদেন।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৯ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৫ লাখ ৫১ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। অর্থাৎ গেলো সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১২ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এ হিসাবে দুই সপ্তাহে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা মূলধন হারালো।
বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে। অর্থাৎ বাজার মূলধন বাড়লে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ বেড়ে যায়। একইভাবে বাজার মূলধন কমলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ কমে যায়।
গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৬২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৯৩৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৭০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বা ১৮.২৫ শতাংশ।
আর গেলো সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৮১৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৩ হাজার ৭৩৩ কোটি ৮ লাখ টাকা। সেই হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৮১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বা ২৯.৬৮ শতাংশ। মোট লেনদেন বাড়ার কারণ গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক: কিছুটা ঊর্ধ্বমুখীতার মধ্য দিয়ে গেল সপ্তাহ পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন চার হাজার কোটি টাকার ওপরে বেড়ে গেছে। এর মাধ্যমে টানা দুই সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়লো ১১ হাজার কোটি টাকার ওপরে।
গেল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫৭ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৫ লাখ ৫২ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। অর্থাৎ গেল সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ৬ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা। এ হিসেবে দুই সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ল ১১ হাজার ৯৩ কোটি টাকা।
বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে। অর্থাৎ বাজার মূলধন বাড়লে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ বেড়ে যায়। একইভাবে বাজার মূলধন কমলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ কমে যায়।
বাজার মূলধন বাড়ার পাশাপাশি গেল সপ্তাহে ডিএসইতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে বেড়েছে তার তার তিনগুণের বেশি। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৭৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৯টির। আর ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৮.৫৪ পয়েন্ট বা.৭০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৮৪.১১ পয়েন্ট বা ১.২৩ শতাংশ।
প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি গেল সপ্তাহে বেড়েছে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। গত সপ্তাহজুড়ে সূচকটি বেড়েছে ১৬.৫৪ পয়েন্ট বা ১.১৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১৬.৫৩ পয়েন্ট বা ১.১৫ শতাংশ।
বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গেল সপ্তাহে কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহজুড়ে এই সূচকটি কমেছে ৩.৭৫ পয়েন্ট বা.১৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৩৩.শূন্য ৭ পয়েন্ট বা ১.২৭ শতাংশ।
গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ১ হাজার ৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৫৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা বা ৫.৩৪ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৩০৯ কোটি ১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৫ হাজার ৩৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ২৬৯ কোটি ২ লাখ টাকা বা ৫.৩৪ শতাংশ।
নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরুর পাঁচ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৪১ পয়েন্ট পড়ে যায়। লেনদেনের শেষদিকে পতনের মাত্রা আরও বাড়ে।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯৬ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৯৫২ পয়েন্টে নেমে গেছে। এর মাধ্যমে টানা পাঁচ কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমলো।
অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ১৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৩৯ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৬২১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৯৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৫৭টির। আর ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৫২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৩৩১ কোটি ৪ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ১৭৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৯৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইএফআইসি ব্যাংকের ৪৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জিএসপি ফাইন্যান্স।
এছাড়াও ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওয়ান ব্যাংক, সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোনালী পেপার, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পাওয়ার গ্রিড ও অ্যাকটিভ ফাইন।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৫০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৮৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৪টির ও ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক: গেল সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজার কিছুটা মন্দার মধ্যে দিয়ে পার করেছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি। বড় অঙ্কের মূলধন হারানোর পাশপাশি কমেছে সবকটি মূল্য সূচক। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের গতি।
আগের দুই সপ্তাহ মন্দার মধ্য দিয়ে পার করে দেশের শেয়ারবাজার। আগের দুই সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে ১২ হাজার কোটি টাকা। ফলে টানা তিন সপ্তাহের পতনে ১৮ হাজার কোটি টাকার ওপরে মূলধন হারালো ডিএসই।
গেল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা। অর্থাৎ গেল সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৬ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা।
বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে। অর্থাৎ বাজার মূলধন বাড়লে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ বেড়ে যায়। একইভাবে বাজার মূলধন কমলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ কমে যায়।
বাজার মূলধন কমলেও গেল সপ্তাহে ডিএসইতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৫টির। আর ১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এর পরও গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৩ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা দশমিক ২০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচক কমে ১৬৭ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩১ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ৯৯ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ টানা তিন সপ্তাহের পতনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কমেছে ২৭৯ পয়েন্ট।
প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি গেল সপ্তাহে কমেছে ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। গত সপ্তাহজুড়ে সূচকটি কমেছে ৩৮ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচক কমে ৪৯ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ২৮ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকও টানা পতনের মধ্যে রয়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে এই সূচকটি কমেছে ৬০ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এই সূচক কমে ১৯ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৩ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ৪৮ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫১০ কোটি ২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ১ হাজার ৫১০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৭৩ লাখ টাকা বা দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৭ হাজার ৫৫০ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৬ হাজার ৪৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৫০৭ কোটি ১০ লাখ টাকা বা ৩৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। মোট লেনদেন বাড়ার কারণ গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) ছুটির কারণে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৩৯ কোটি ৯২ লাখ ৮৯ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ১২ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৩০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। ৩৬০ কোটি ৬৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- আইএফআইসি ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, ফরচুন সুজ, জিনেক্স ইনফোসিস লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসতে আবেদন জমা দিয়েছে বিমা খাতের কোম্পানি মেঘনা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ১ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে করে পুঁজিবাজার থেকে ১৬ কোটি উত্তোলন করবে বিমা খাতের এ কোম্পানি।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন জমা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আবেদন অনুসারে, এ বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ২৪ কোটি টাকা। আইপিওর আগে অর্থাৎ বর্তমান এই কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৪০ লাখ আর আইপিওর পরবর্তী কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা হবে ৪ কোটি।
প্রসপেক্টাস অনুসারে, ৩১ মার্চ ২০২১ প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে (এনএভিপিএস) ১৬ টাকা ৪১ পয়সা। ২০২০ সালে ছিল ২৬ টাকা ৪ পয়সা। তার আগের বছর ২০১৯ সাল ছিল ২৮ টাকা ৫৭ পয়সা।
৩১ মার্চ ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ১১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সালে ইপিএস ছিল ৯৫ পয়সা। ২০১৯ সালে কোম্পানির ইপিএস ছিল ২ টাকা ৬০ পয়সা।
কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনা দায়িত্বে রয়েছে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট, ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট ও এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পাটর্নার ইনভেস্টমেন্ট লিমিডেট।
নিউজ ডেস্ক: সরকার ঘোষিত ‘কঠোর লকডাউনের’ মধ্যে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার (৯ আগস্ট) পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান হয়েছে। এদিন পুঁজিবাজারের লেনদেন ৩ হাজার ৬৬ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
এরমধ্যে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা এবং অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ১২৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রথমবারের মতো রেকর্ড ৬ হাজার ৬২৮ পয়েন্ট ছাড়িয়েছে। একইসঙ্গে সাড়ে ১০ বছরের মধ্যে ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সোমবার ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৩২ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৬২৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সূচকটি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থান করছে। বৃহস্পতিবার সূচক ৬ হাজার ৫৯৬ পয়েন্ট অবস্থান করছিল। তবে সোমবার সূচকটি ৩২ পয়েন্ট বেড়ে প্রথমবারের মতো ছয় হাজার ৬২৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার আগে ২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বর সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থান করে সূচকটি। ওই দিন সূচকটি ৬ হাজার ৩৩৬ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১২ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১৪৫২ ও ২৩৯২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সোমবার ডিএসইতে দুই হাজার ৯৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসইতে ৪২৮ কোটি টাকার লেনদেন বেড়েছে। আগের দিন ডিএসইতে দুই হাজার ৫১১ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল। এদিকে, সোমবার ডিএসইতে সাড়ে ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। এটি ডিএসইর ইতিহাসে পঞ্চম সর্বোচ্চ লেনদেন, এর আগে ২০১০ সালের ২ ডিসেম্বর ডিএসইতে লেনদেন হয় তিন হাজার ১৭৯ কোটি টাকার।
সোমবার ডিএসইতে ৩৭৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮১টি কোম্পানির, কমেছে ১৭৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর।
সোমবার লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠান হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, অরিয়ন ফার্মা, আইএফআইসি ব্যাংক, ন্যাশনাল পলিমার, জিপিএইচ ইস্পাত, এস এস স্টিল, জেনেক্স, মালেক স্পিনিং, বিএটিবিসি ও ফুওয়াং সিরামিক।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১৩৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৯ হাজার ৩২২ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ৩২১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৬৫টির, কমেছে ১৪১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির কোম্পানির শেয়ার দর।
সোমবার সিএসইতে ১২৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ৪৬ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৮১ কোটি ১৪ লাখ টাকার।
নিজস্ব প্রতিবেদক: গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষস্থান দখল করেছে প্রাইম ইন্স্যুরেন্স। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই দাম কমেছে। এতে গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম কমার শীর্ষস্থান দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। টাকার অংকে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৯ টাকা ৪০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ৫৯ টাকা ৩০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ছিল ৬৮ টাকা ৭০ পয়সা।
অবশ্য এই দাম কমার আগে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম প্রায় চার মাস ধরে বাড়ে। গত ১৮ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ২৯ টাকা। সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে প্রতিটি শেয়ারের দাম ৭০ টাকা ২০ পয়সায় উঠে যায়।
এদিকে দাম কমে যাওয়ার পরও গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে রাজি হয়নি। এতে গেল সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকার। এতে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে তিন কোটি ৩৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের পরেই গত সপ্তাহে দাম কমার তালিকায় ছিল এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড। সপ্তাহজুড়ে এই মিউচ্যুয়াল ফান্ডটির দাম কমেছে ১০ শতাংশ। ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ দাম কমার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স।
এছাড়াও গত সপ্তাহে দাম কমার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- প্রভাতি ইন্স্যুরেন্সের ৭ দশমিক ১৬ শতাংশ, ফিনিক্স ফাইন্যান্সের ৫ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ, শ্যামপুর সুগার মিলের ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ, পপুলার লাইফের ৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং পুরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ দাম কমেছে।
নিউজ ডেস্ক: ঢাকা: ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে রোববার (৮ আগস্ট) পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে ব্যাংকের লেনদেনের সময় বাড়ায় পুঁজিবাজারে লেনদেনও সকাল ১০ থেকে আড়াইটা পর্যন্ত চলবে।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ব্যাংক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কারণে ৮ আগস্ট পুঁজিবাজারও বন্ধ থাকছে। ব্যাংক ছাড়া পুঁজিবাজারের আর্থিক লেনদেন সম্ভব না। তাই পুঁজিবাজারও বন্ধ থাকছে।
আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, সোম ও মঙ্গলবার (৯ ও ১০ আগস্ট) ব্যাংকের লেনদেন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে। আর ব্যাংকের লেনদেন সময় বাড়ানোর কারণে পুঁজিবাজারের লেনদেনও সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (২৯ জুন) লেনদেনের শুরুতে দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। তবে লেনদেনে কিছুটা ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩০০ কোটি টাকার কম লেনদেন হয়েছে। তবে দাম বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে প্রথম মিনিটের লেনদেনেই প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক প্রায় ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের প্রথম এক ঘণ্টা এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (১১টা ৬ মিনিট) ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩০ পয়েন্টে বেড়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ৫ পয়েন্ট বেড়েছে। আর ডিএসই-৩০ এর সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৭টির। আর ৩৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৯৭ কোটি ৩০ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ১৯২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৯টির, কমেছে ৬৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির।
এর আগে লকডাউনের আতঙ্কে গত রোববার দেশের শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়। ওই দিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক ১০০ পয়েন্ট পড়ে যায়।
এরপর রোববার সন্ধ্যার দিকে লকডাউন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত সকল ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে রিকশা ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করবে। খোলা থাকবে ব্যাংকসহ সব ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
এদিকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে জানানো হয়েছে, ব্যাংক খোলা থাকলে যেকোনো পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারের লেনদেন চলমান থাকবে। সেইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের গুজবে কান না দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
এ পরিস্থিতিতে বড় পতনের পরের দিন সোমবারই ঘুরে দাঁড়ায় শেয়ারবাজার। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার সঙ্গে বাড়ে মূল্য সূচক। মঙ্গলবারও শুরুর দিকের লেনদেনে সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে।