স্বাস্থ্য ডেস্ক: সারা বছর খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষত শীতকালে খেজুরের উপকারীতার শেষ নেই। রক্তে আয়রনের মাত্রা বাড়াতে রোজকার খাদ্যতালিকায় রাখুন খেজুর। এই ফলটি পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ, আবার এতে রয়েছে অসাধারণ কিছু ঔষধিগুণ।
খেজুরের যাবতীয় পুষ্টিগুণ জেনে নেওয়া যাক—
১. খেজুরে থাকা গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করা শরীরে তাত্ক্ষণিক শক্তি জোগায়। তাই খাদ্যতালিকায় খেজুর রাখলে সারাদিন বেশ প্রাণবন্ত থাকা যায়।
২. খেজুরে কোনও ফ্যাট নেই। নেই কোনও কোলেস্টেরলও। খেজুরে থাকা ‘ক্যাটাচিনস’ নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভাল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়। তা ছাড়া, খেজুর ধমনীতে চর্বির স্তর জমতে দেয় না।
৩. রক্তস্বল্পতায় ভুগলে অবসাদ, শ্বাসকষ্টের সমস্যা প্রায়ই দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রেও খেজুর ভীষণ উপকারী। খেজুর আয়রনের ভাল উৎস।
৪. হৃদ্রোগ, ক্যানসার কিংবা ডায়াবিটিসের রোগীদের ক্ষেত্রেও খেজুর খুব উপরারী। খেজুরে আছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ফ্ল্যাভোনয়েডস যা ক্যানসার এবং ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে ভাষণ উপকারী। এ ছাড়াও খেজুরে আছে আইসোফ্ল্যাভন ও ক্যারোটেনয়েডস নামক দু’টি উপাদান, যা হৃদ্রোগ প্রতিরোধ করতে কার্যকরী। খেজুরে থাকে ফেনোলিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
৫. খেজুরে বেশ ভাল মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাই বলা য়ায়, খেজুর হল এমন এক প্রাকৃতিক প্রতিষেধক, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৬. খেজুরে প্রচুর পরিমাণ সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। এ সব হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ প্রতিরোধের জন্য বেশ উপকারী।
৭. খেজুরে রয়েছে ভিটামিন এ এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ‘ক্যারোটানয়েডস’, যা দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে উপকারী। এমনকি, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চোখের পেশীর সঙ্কোচন-প্রসারণ ক্ষমতা কমে যাওয়া সংক্রান্ত সমস্যাও খেজুর প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
৮. সাধারণত খাদ্যে ফাইবার অভাবে পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ হয়। খেজুরে যেহেতু প্রচুর ফাইবার থাকে, তাই নিয়মিত খেজুর খেলে এ রোগগুলি থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে দ্রুত গতিতে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এই অবস্থায় সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পাশাপাশি অর্ধেক লোকবল দিয়ে অফিস আদালত পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরে আয়োজিত দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, এটা খুব শিগগিরই প্রজ্ঞাপন আকারে চলে আসবে। গণপরিবহনে যাতে ভোগান্তি না হয়, সেজন্য অর্ধেক লোক দিয়ে অফিস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, আক্রান্ত নিয়ন্ত্রণেই ১১ দফা বিধিনিষেধ। সবাইকেই এগুলো মেনে চলতে হবে। আমরা আগেও বিধিনিষেধ দিয়েছি, এগুলো কার্যকরের চেষ্টা চলছে। সংক্রমণ যাতে কমে সেজন্য এই সিদ্ধান্ত। পরিবার, দেশে ও নিজের সুরক্ষার জন্য আমাদের নিয়মগুলো মানতে হবে।
‘নির্দেশনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব প্রশাসনের’- এমনটা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চাইব, তারা যেন আরও নজরদারি বাড়ান। জনগণের দায়িত্ব আরও বেশি। নিজেদের সুরক্ষায় বিধিনিষেধ নিজেদেরই পালন করতে হবে। সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়।
টিকার লক্ষ্যমাত্রা ৭০ শতাংশে নামিয়ে আনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সাড়ে ১২ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার কথা বলে এসেছি। তা কিন্তু ৭০ ভাগের মধ্যে। অনেকে বাইরে থাকে। সবমিলিয়ে আমরা ১৫ কোটি ১০ লাখ টিকা দিয়েছি, হাতে ৯ কোটি আছে। আমরা জনসনের তিন লাখ ৩৭ হাজার টিকা পেয়েছি, আরও আসবে।
এর আগে গত বছরের ২৯ মার্চ করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক নির্দেশনায় জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব সরকারি, বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানা ৫০ ভাগ জনবল দিয়ে পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে গর্ভবতী, অসুস্থ ও ৫৫ বছরের বেশি বয়সীদের বাড়িতে অবস্থান করে কাজ করার ব্যবস্থা করতে বলা হয়। পরবর্তীত সময়ে ৪ এপ্রিল থেকে সরকারি সব দফতরে অর্ধেক জনবলে অফিস কার্যক্রম শুরু হয়।
স্বাস্থ্য ডেস্ক: শীতকালে শুষ্ক ত্বককে কোমল ও মসৃণ করতে গ্লিসারিন একটি জনপ্রিয় প্রসাধনী। এটি ত্বককে প্রাণবন্ত করে তোলে। তবে গ্লিসারিন শুধু ত্বক নয়, চুলেরও যত্ন নেয়। চুলকে নরম ও উজ্জ্বল রাখার পাশাপাশি চুলের নানা শীতকালীন সমস্যা দূর করে গ্লিসারিন।
কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করা যায় গ্লিসারিন। শীতের শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই শ্যাম্পু করার পর গ্লিসারিন ব্যবহারে চুল হয় নরম। এছাড়া চুলের স্প্রে হিসেবেও গ্লিসারিন ব্যবহার করা যায়। সমান পানি ও গ্লিসারিন একসঙ্গে মিশিয়ে একটি স্প্রে মেশিনে ভরে রাখুন। এরপর কখনো চুল অত্যাধিক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে পড়লে এই মিশ্রণটি ব্যবহার করা যায়।
শীতকালে প্রকট হয় খুশকির সমস্যা। খুশকির সমস্যায়ও গ্লিসারিন খুব ভালো কাজ করে। সামান্য পরিমাণে গ্লিসারিন হাতে নিয়ে নরম হাতে চুলে ঘষে দিলে খুব ভাল কাজে দেয়। তবে কখনো জোরে জোরে ঘষা উচিত নয়। কারণ, গ্লিসারিন চুলের গোড়া নরম করে দেয়। এতে চুল পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়ায় চুলের আগা ফাটার সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে। এই সমস্যার সমাধানেও কাজে আসে গ্লিসারিন। অল্প গ্লিসারিন হাতে নিয়ে চুলের ডগাতে লাগানো যায়। এতে চুলের গোড়া শুকিয়ে গেলেও আর্দ্রতা বজায় থাকে।
স্বাস্থ্য ডেস্ক: শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর অন্যতম কিডনি। যা শরীর থেকে বর্জ্য পরিস্রুত করতে কাজ করে। কিডনির সমস্যা মানুষকে প্রাণের ঝুঁকিতেও ফেলে দিতে পারে। তাই কিডনি নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক থাকা উচিত। মুশকিল হলো, অনেক ক্ষেত্রেই কিডনির সমস্যার উপসর্গগুলো মৃদু হয়ে থাকে। তাই অসুখ গভীর না হলে বুঝে ওঠা যায় না।
অনেক সময় দেখা যায়, কোনো শারীরিক আঘাত বা উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ডায়াবেটিসের মতো রোগের কারণে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার কারণে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলোকে বের হতে পারে না। ফলে শরীরে টক্সিন তৈরি হতে শুরু করে। কিডনি ঠিক আছে কি না জানতে কিছু সাধারণ লক্ষণের বিষয়ে সচেতন থাকা দরকার।
গোড়ালি ও পা ফোলা
তলপেটে দুটি মটরশুঁটি আকৃতির অঙ্গ অর্থাৎ কিডনি শরীর থেকে বর্জ্য এবং অতিরিক্ত সোডিয়াম পরিস্রুত করতে সাহায্য করে। কিন্তু কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে শরীরে সোডিয়াম জমা হতে শুরু করে। যার ফলে গোড়ালি এবং পা ফুলে যায়। এ শারীরিক অবস্থাটিকে এডিমা বলা হয়। আবার কারও কারও চোখের এবং মুখের মতো শরীরের অন্যান্য অংশে ফোলাভাব দেখা যায়। তবে কিডনির সমস্যায় প্রাথমিকভাবে হাত, পা, গোড়ালিতে প্রভাব পড়ে।
দুর্বলতা এবং ক্লান্তিভাব
সাধারণত সবসময় ক্লান্তি এবং দুর্বল অনুভব হওয়া লিভারের সমস্যার উপসর্গ। আবার কিডনির সমস্যা গুরুতর হয়ে গেলেও রোগী অনেক বেশি ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভব করেন। এমনকি রোগী সামান্য বাড়ির কাজ করে কিংবা হাঁটার সময়েও সহজেই ক্লান্ত হয়ে যান৷ এক্ষেত্রে কিডনি ঠিক মতো কাজ না করায় রক্তে টক্সিন তৈরি হওয়ার কারণেই এ ধরনের সমস্যা হতে দেখা যায়।
খিদে কমে যাওয়া
শরীরে টক্সিন ও বর্জ্য জমে যাওয়ায় খিদে কম পায় এবং ধীরে ধীরে পরে রোগীর ওজন কমে যায়৷ সকালের দিকে বমি হওয়ায় খিদে কম পাওয়ার আরও একটি কারণ হতে পারে। তাই সব সময় পেট ভর্তি রয়েছে অনুভব হলে তা কিডনির সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
ঘন ঘন প্রস্রাব
একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ সারা দিনে ৬-১০ বার মূত্র ত্যাগ করেন। এর চেয়ে বেশি মূত্রের বেগ পেলে তা কিডনির সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। কিডনির সমস্যা থাকলে কেউ খুব কম বা ঘন ঘন মূত্র ত্যাগ করতে পারেন। এমনকি অনেকের ক্ষেত্রে মূত্রের সঙ্গে রক্ত কিংবা বেশি ফেনা বের হয়। এক্ষেত্রে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রক্তের কোষগুলো প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে শুরু করে।
শুষ্ক ত্বক এবং চুলকানি
অন্যান্য লক্ষণগুলোর সঙ্গে শুষ্ক ত্বক এবং চুলকানি অ্যাডভান্স পর্যায়ের কিডনির সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। কিডনি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে না পারলে এবং শরীরের বর্জ্য রক্তে জমা হতে শুরু করলে ত্বকে চুলকানি, শুষ্কতা এবং দুর্গন্ধ হতে পারে। কিডনির সমস্যা থেকে হাড়ের অসুখও হতে পারে।
প্রয়োজন সচেতনতা
কিডনির সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করলে তখনই প্রতিরোধ করা যায়, যখন সময় মতো উপসর্গগুলো শনাক্ত হয়। উচ্চ রক্তচাপ, সুগার এবং কোলেস্টেরল বেশি থাকলে কিডনির সমস্যা হওয়ার খুব বেশি ঝুঁকি থাকে। তাই যাদের এসব রোগ রয়েছে তাদের অন্যান্য অঙ্গগুলো ঠিক মতো কাজ করছে কি না জানার জন্য নিজেদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা এবং বছরে অন্তত একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করতে এবং চিকিৎসা শুরু করতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সাহায্য করে।
নিজস্ব প্রতিবেদক: শীতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তাপমাত্রা কমেছে। কোনো কোনো অঞ্চলে শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। বাড়ছে ঠান্ডা, শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি, চর্মরোগসহ শীতকালীন নানা ধরনের রোগ। ফলে হাসপাতালে ভিড় বেড়েছে রোগীদের।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মেডিসিন বহির্বিভাগে গিয়ে রোগীদের ভিড় দেখা যায়। ৪টি রুমে একাধিক ডাক্তার দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন।
রোগী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শীতে আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে সাধারণত যেসব রোগ দেখা দেয়, সেসব রোগীই তুলনামূলকভাবে বেশি। ঠান্ডা, কাশি, শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা শীতের কারণে বেড়েছে দ্বিগুণ। শীতের কারণে সকাল ৮টার দিকে রোগীর সংখ্যা কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ডাক্তারের রুমের সামনে দীর্ঘ লাইন। কোনো চেয়ার ফাঁকা নেই। অনেকে আবার দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এখানে চিকিৎসার জন্য ফেনীর সাঁড়াশিয়া থেকে এসেছেন ৬৩ বছর বয়সী আবুল বাশার।
এই বৃদ্ধের সমস্যার কথা জানতে চাইলে বলেন, কয়েকদিন ধরে কাশি হচ্ছে। রাতে ঘুমাইতে পারি না। নাক দিয়েও পানি পড়ে। এ কারণে ডাক্তারের কাছে এসেছি, দেখি তারা কী বলেন।
ঠা-াজনিত সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন একজন। শীত আসলেই সমস্যাটা তার বেড়ে যায়। ডাক্তার দেখানো ছাড়া উপায় থাকে না। সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, পানিতে হাত দিলেই ঠান্ডা লেগে যায়। তার ওপর এখন শীতও বেড়ে গেছে। তাই গত কয়েকদিন ধরে ঠান্ডাটা একটু বেশি লেগেছে। আর কমছে না। ওষুধ খেলাম, ভালো হয়নি। এজন্য এখানে ভালো ডাক্তার দেখাতে আসলাম।
শীতের মৌসুমে ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ভোগেন প্রায় সব বয়সী মানুষই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগে এ ধরনের সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী আসলেও এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ১২০ থেকে ১৫০ জনের মতো।
বহির্বিভাগের সামনে কথা হয় নরসিংদীর রায়পুরা থেকে আসা ১৭ বছর বয়সী তৌফিকুল ইসলামের সঙ্গে। একই অবস্থা তারও। নিজের সমস্যার কথা বলতে গিয়ে বলেন, ফার্মেসি থেকে ওষুধ খেয়েছি। কিন্তু ঠান্ডা ভালো হয়নি। তাই এখানে আসলাম ভালো ডাক্তার দেখাতে। নাক দিয়ে পানি পড়ে, শুকনো কাশিও হয়।
শীতজনিত রোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে বহির্বিভাগের একজন মেডিকেল অফিসার বলেন, শীতের কারণে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, এজমার রোগী বেড়ে গেছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, বায়ু দূষণসহ অসচেতনার ফলেইেএসব রোগ বেড়ে যায়।
এ ধরনের রোগের এড়িয়ে চলার পরামর্শ হিসেবে তিনি বলেন, প্রথমতো সচেতনতা দরকার। এছাড়া প্রাচীন যে পদ্ধতি যেমন গরম চা, আদা এসব খাওয়াও বেশ ভালো। সেইসঙ্গে ধূমপান না করা, মাস্ক পরাসহ ঠান্ডা লাগতে পারে এমন কিছু এড়িয়ে চললে এ ধরনের রোগী হ্রাস পাবে।
নিউজ ডেস্ক: শীতকালীন সবজি হিসেবে পরিচিত বাঁধাকপি। এটি রান্না করে খাওয়ার পাশাপাশি কাঁচাও খাওয়া যায়। বাঁধাকপি সুস্বাদু এবং উপকারী। এই সবজিতে আছে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য সহায়ক একটি খাবার হতে পারে বাঁধাকপি। এছাড়া এটি সাহায্য করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও।
পুষ্টিগুণ: ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যাগ্রিকালচারের দেওয়া তথ্য অনুসারে প্রতি ১০০ গ্রাম বাঁধাকপিতে থাকে ০.১০ গ্রাম স্নেহ পদার্থ, ১৮ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ১৭০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ৫.৮০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ১.২৮ গ্রাম প্রোটিন। সুস্বাদু এই সবজিতে আছে ভিটামিন এ, বি১, বি২, বি৬, ই, সি এবং কে। সেইসঙ্গে আরও আছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, আয়োডিন, পটাসিয়াম, সালফার, ফসফরাস এবং ফলেট। বাঁধাকপি খাওয়ার উপকারিতাগুলো জেনে নিন-
টক্সিন দূর করে: বাঁধাকপিতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি এবং সালফার। এই দুই উপাদান আমাদের থাকে যা লিভারের জন্য উপকারী। বাঁধাকপি খেলে তার মাধ্যমে আমাদের শরীরে বেশকিছু উপকার হয়। শরীরে প্রোটিন সংশ্লেষ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি হরমোন উৎপন্ন হয়, গ্লাইকোজেন সংশ্লেষিত হয়। সেইসঙ্গে বৃদ্ধি পায় হজম ক্ষমতা। ফলে শরীর থেকে টক্সিন দূর করা সহজ হয়ে যায়।
রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে: যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের জন্য উপকারী একটি সবজি হতে পারে বাঁধাকপি। কারণ লাল রঙের বাঁধাকপিতে থাকে বেটালিয়ান, যে কারণে এর রং লাল হয়। আর এই বেটালিয়ান আমাদের শরীরে ইন্স্যুলিন উৎপান্ন করতে সাহায্য করে, সেইসঙ্গে নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তে শর্করার মাত্রা।
ত্বক সুন্দর রাখে: সুন্দর ত্বক কে না পেতে চায়! আর কাঙ্খিত ত্বক পেতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে বাঁধাকপি। এই সবজিতে আছে সিলিকন ও সালফার। এই দুই উপাদান আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী। এটি অসমোসিস পদ্ধতিতে শরীরের কোষে জমে থাকা বর্জ্য পদার্থ দূর করে। ফলে ত্বক পরিষ্কার থাকে।
আলসার সারাতে কাজ করে: আলসার নিরাময়ে কাজ করে বাঁধাকপি। এটি পাকস্থলীর আলসার ও পেপটিক আলসার প্রতিরোধে কাজ করে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, আলসারের জন্য সবচেয়ে উপকারী প্রাকৃতিক ওষুধ হলো বাঁধাকপির রস।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য সাহায্যকারী সবজি হতে পারে বাঁধাকপি। এতে আছে টারটারিক অ্যাসিড। চিনি ও শর্করার কারণে শরীরে জমে থাকা চর্বি দূর করতে কাজ করে এই অ্যাসিড। তাই চর্বি ও ওজন কমাতে প্রতিদিনের খাবারে রাখুন বাঁধাকপি।
স্বাস্থ্য ডেস্ক: শরীরে সুস্থতা বজায় রাখতে পুষ্টি এবং খনিজগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ কারণে দরকার স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্য। ভিটামিন সি আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির একটি।
ভিটামিন সি হাড়ের গঠন, রক্তনালীর স্বাস্থ্য এবং ক্ষত নিরাময়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি জৈব অম্ল, যা শাকসবজি, ফল প্রভৃতিতে পাওয়া যায়। মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্য একটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। এ কারণেই ভিটামিন-সি’র অভাবে অনেক রোগ হতে পারে, যা আরও অন্য জটিলতার কারণ হতে পারে।
স্কার্ভি : স্কার্ভি হলো ভিটামিন-সি’র অভাবের সঙ্গে যুক্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রোগ। খাদ্যে ভিটামিন-সি’র অভাব হলে দাঁতের মাড়িতে ক্ষত সৃষ্টি হয়, মাড়ি থেকে রক্তপাত হয়। এছাড়াও দুর্বলতা, ক্লান্তি, ফুসকুড়ি এবং আরও অনেক কিছু হয়। প্রাথমিক উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্লান্তি, খিদে কম হওয়া, বিরক্তি এবং জয়েন্টে ব্যথাও হতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে রক্ত স্বল্পতা, মাড়ির প্রদাহ, ত্বকের রক্তক্ষরণ ইত্যাদি হতে পারে।
হাইপারথাইরয়েডিজম : যখন থাইরয়েড গ্রন্থি অতিরিক্ত হরমোন নিঃসরণ করে, তখন এটিকে হাইপারথাইরয়েডিজম বলে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির সঙ্গে ভিটামিন-সি থাইরয়েড ঠিক রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘস্থায়ী ভিটামিন-সি’র অভাবে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে হরমোনের অতিরিক্ত নিঃসরণ হতে পারে, যা হাইপারথাইরয়েডিজমের দিকে নিয়ে যায়। যার ফলে ওজন কমে যায়, হৃৎস্পন্দন বাড়ে, খিদে বাড়ে।
রক্ত স্বল্পতা : খাদ্য তালিকায় ভিটামিন-সি অন্তর্ভুক্ত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য উপকারিতা ছাড়াও ভিটামিন সি আয়রন শোষণে সাহায্য করে, যা রক্ত স্বল্পতার মতো রোগ প্রতিরোধের জন্য অত্যাবশ্যক। যা শরীরের লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা কমে যাওয়ার একটি ফল। এই রোগের উপসর্গগুলো হলো ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি।
মাড়ি থেকে রক্তপাত : যখন আমাদের দাঁতের স্বাস্থ্যের কথা আসে, ভিটামিন-সি সেক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শুধু দাঁতকেই মজবুত করে না, মাড়িকেও রক্ষা করে। অতএব, ভিটামিন-সি’র অভাবে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া এবং মাড়ির রোগ হতে পারে।
ত্বকের রোগ : ভিটামিন সি ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি কোলাজেন উৎপাদনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। কোলাজেন একটি প্রোটিন, যা ত্বক, চুল, জয়েন্ট ইত্যাদির মতো সংযোজক টিস্যুতে প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
কীভাবে শরীরে ভিটামিন সি-র অভাব মেটাতে হবে?
প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। প্রচুর পরিমাণে সাইট্রাস ফল, ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ শাকসবজি খেতে হবে ও ধূমপান এড়ানো উচিত। কারণ গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে ধূমপায়ীদের শরীরে ভিটামিন-সি এর পরিমাণ কমে যায়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারা দিনে ৪০ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি প্রয়োজন। প্রয়োজনে ভিটামিন-সি সাপ্লিমেন্টগুলোও নেওয়া যেতে পারে। তবে যে কোনো সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
আদালতের দুদক শাখার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।
চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন- রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম।
চার্জশিটে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নবিহীন রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরের লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে অবৈধভাবে পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেন।
এছাড়া চার্জশিটে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ হিসেবে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরে সমঝোতা স্মারকের খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
স্বাস্থ্য ডেস্ক: প্রতি ১০০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ার বিচি থেকে ৫৬০ ক্যালরি পাওয়া যায়। এতে বেশ ভালোই ক্ষুধা মেটে। আর সামান্য এই খাবারে পুষ্টিও অনেক। তাই নাশতা হিসেবে কুমড়ার বিচি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে নিতে পারেন।
প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদানের ‘পাওয়ার হাউস’ মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে আছে ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, প্রোটিন ও আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সব খাদ্য উপাদান। ওজন কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কুমড়ার বিচি।
ছোট্ট এই খাবারেই পেট পূর্ণ থাকে অনেকক্ষণ। আর আশজাতীয় খাবার বলে হজমেও সময় লাগে। ফলে ক্ষুধা পায় না, শুধু শুধু বাড়তি খাবার শরীরে ঢোকার সুযোগ পায় না।
বিজ্ঞানীরা গবেষণায় পেয়েছে, এই বিচিটি ক্যান্সারের কোষের বিরুদ্ধে কাজ করার আশ্চর্য রকমের ক্ষমতা রাখে। এটির রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহ বিরোধী গুণাগুণ। বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসায় মিষ্টি কুমড়োর বীজের বেশ সফলতা রয়েছে। বীজ প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। নিউট্রিশনিস্টদের মতে ৩০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়োর বীজের প্রায় ৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
হার্ট ভালোভাবে রক্ত পাম্প করতে সমর্থ হয়। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়া দাঁত ও হাড় গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কুমড়োর বীজে ট্রিপটোফ্যান নামে অ্যামাইনো এসিড থাকে যা রাতে আপনাকে ভালো ঘুম এনে দেবে। তাই একে প্রকৃতিপ্রদত্ত স্লিপিং পিল বলা হয়ে থাকে। কুমড়ার বীজে প্রচুর প্রোটিনও রয়েছে। এটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। এর দুটি সুবিধা পাবেন আপনি একদিকে আপনার ওজন কমবে, অন্যদিকে ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
স্বাস্থ্য ডেস্ক: ঝিঙা আমাদের দেশে পরিচিত একটি সবজি। সাদামাটা এই সবজিটি হরেক গুণের আধার। উপকারী ঝিঙার স্বাদও অতুলনীয়। এটি যেমন ভাজি করে খাওয়া যায় তেমনি খাওয়া যায় ভর্তা করেও। ফাইবার সমৃদ্ধ গাঢ় সবুজ রঙের এই সবজিটির রয়েছে দারুন পুষ্টিমান। এতে আছে ভিটামিন সি, রিবোফ্ল্যাভিন, জিংক, আয়রন, থায়ামিন, ম্যাগনেসিয়াম। আসুন জেনে নেই ঝিঙা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কী উপকারে আসে-
রক্তকে দূষণ থেকে রক্ষা করতে ঝিঙা অতুলনীয়। যকৃতের জন্য খুবি উপকারী এই সবজি আপনার স্বাস্থ্যের সুরক্ষা দিতে অনন্য খাদ্য উপাদান। এ্যালকোহলের প্রভাব বিনষ্টকরণেও ঝিঙা খুবই উপকারী। জন্ডিস নিরাময়ে ঝিঙা খুব ব্যবহার হয়ে থাকে। ঝিঙার জুস জন্ডিস আক্রান্ত রোগীদের খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এ্যাসিডিটি রোধ করে আলসার থেকে রক্ষা করতে সক্ষম এই ঝিঙা। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, এমনকি পাইলস রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা যেতে পারে ঝিঙা। পাকস্থলীর কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি করে এটি।
ঝিঙায় বিদ্যমান পেপটিডেস রক্ত ও মূত্রের চিনির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। আর এটি রক্তে ইনসুলিনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঝিঙা খুবই উপকারী। প্রদাহ রোধক ও এ্যান্টিবায়োটিকের চমৎকার গুণ ঝিঙাতে রয়েছে। শরীরের বিষাক্ত যৌগের নির্মূলে এই প্রাকৃতিক উপাদান খুব কার্যকর। ত্বকের সুরক্ষায়ও ঝিঙার চমৎকার ব্যবহার রয়েছে।