নিজস্ব প্রতিবেদক: রোজার মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করায় ইতোমধ্যে ইতোমধ্যে বেশ কিছু শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। অনেক শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। যে কারণে কঠোর নজরদারির মধ্যে আনা হয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সতর্কতা জারির পর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোনও গুজব, সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা এবং সরকারি নির্দেশনা যথাযথভাবে না মানলে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রমাদ্বান শরীফ মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষকরা পোস্ট দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে নজরদারি করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনও কর্মকর্তা এক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। জেলা ও উপজেলা কমিটি শিক্ষকদের ফেসবুক এবং তাদের কর্মকা- মনিটরিং করবেন। মনিটরিংয়ের পর অবহেলা বা অভিযোগ উঠে এলে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিরাজগঞ্জ জেলাধীন উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম তোতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারি আদেশের বিরোধিতা করে পোস্ট দেন। গত ৩০ মার্চ বিভাগীয় উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এদিকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার কয়েকটি বিদ্যালয়ে ঠিকমতো বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়া ও অবহেলার অভিযোগ উঠে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্তে গিয়ে এসব দেখতে পাওয়ায় শিক্ষা কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। আরও কয়েকজন শিক্ষককে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ৭৯ হাজার ৩৩৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। যা পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মোট শিক্ষার্থীর ৫৫.১৩ শতাংশ। এদের মধ্যে মেয়ে উন্নীত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৫০৪ জন (৫৬.০৯ শতাংশ) এবং ছেলে ৩৪ হাজার ৮৩৩ জন (৪৩.৯১ শতাংশ)।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরে এ ফলাফল ঘোষণা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মেডিক্যালে মোট ৪ হাজার ৩৫০টি আসনের বিপরীতে এবছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯১৫ জন; যা বিগত যেকোনও বছরের তুলনায় সর্বোচ্চ। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪২ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
নিউজ ডেস্ক: স্কুল-কলেজে পুরোদমে পাঠদান শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ মার্চ) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়। তবে কোনো শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলে তাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজ ব্যবস্থাপনায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, মাউশির অওতাধীন দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনার কারণে চলমান অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম পুনরায় নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। তবে কোনো শিক্ষার্থী অনুপস্থিতির কারণে শিখন ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, দীর্ঘ দুই বছর পর মঙ্গলবার ফের আগের রূপে ফিরেছে শিক্ষাঙ্গন। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মুখরিত স্কুল-কলেজের ক্যাম্পাস। তবে পুরোদমে ক্লাস শুরু হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি চরমভাবে উপেক্ষিত হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে গাদাগাদি করে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের বসানো হয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই হাত ধোয়া ও মাস্ক পরার প্রতি উদাসিনতা দেখা গেছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের শিখন জ্ঞান অর্জনে প্রতি সপ্তাহে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া শুরু হয়। সপ্তাহ শেষে তা তৈরি করে শিক্ষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ব্যস্ত রাখতে ও সিলেবাস এগিয়ে নিতে এ কার্যক্রম শুরু করে সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রায় দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরেছে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা। বুধবার সারাদেশে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে পাঠদান শুরু হয়েছে।
তবে এখনই খুলছে না প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়। চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। এক্ষেত্রে আরও অন্তত দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল হক।
এদিকে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার অজুহাতে এবারও পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার কথা বলেছে সংশ্লিষ্টরা। তারা জানিয়েছে, এ বছর প্রাথমিকের ক্লাস চলবে ২০ রমাদ্বান পর্যন্ত। ২১ রমাদ্বান থেকে শুরু হবে ঈদুল ফিতরের ছুটি। ঈদের ছুটি শেষে আবারও যথারীতি ক্লাসে ফিরবে শিক্ষার্থীরা।
তবে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের এভাবে রমাদ্বান শরীফ মাসেও ক্লাস চালু রাখার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
গত রোববার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাসিক সমন্বয় সভায় ২ মার্চ শুরু হয়ে ২০ রমাদ্বান পর্যন্ত প্রাথমিকের ক্লাস চালানোর সিদ্ধান্ত হয়।
ওইদিন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন জানান, ২ মার্চ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে । শিক্ষক-অভিভাবকরা এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের সব স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান শুরু হয়েছে।
২০২০ সালের ১৭ মার্চ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। ১৮ মাস পর গত বছর সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও এ বছরের শুরুতে গত ২১ জানুয়ারি আবারও স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক: উচ্চ মাধ্যমিকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে নতুন পাঠ্যবইয়ের সংকট দ্রুত পুষিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বুধবার ঢাকা কলেজে এক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী দুই শিক্ষাবর্ষে ক্ষতি পুষিয়ে উঠা হবে। এখন থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস হবে।
তিনি আরও বলেন, আজ একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা কলেজে উপস্থিত হলেও আমি কথা বলছি সব শিক্ষার্থীদের জন্য। এ দীর্ঘ সময়ে এক ধরনের ট্রমার মধ্য দিয়ে গিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আমরা আশাকরি, ক্লাস শুরু হওয়ার মধ্য দিয়ে তারা নিজেদের দ্রুত গুছিয়ে নেবে।
আগের সব ঘাটতি পূরণ করতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী ।
এদিকে একাদশ শ্রেণীর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নতুন পাঠ্যবইয়ের মোড়ক উন্মোচন হচ্ছে বুধবার। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ মোড়ক উন্মোচন করেছেন। একইদিন শুরু হয়েছে একাদশ শ্রেণীর ক্লাস।
নিউজ ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের সশরীরে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আগামী মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে পুনরায় শুরু হবে। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পূর্বঘোষিত রুটিনভিত্তিক পরীক্ষাসমূহ চলমান থাকবে। অফিসসমূহও ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে যথারীতি খোলা থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
করোনা সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বেড়ে যাওয়ায় জাতীয় সিদ্ধান্তের সঙ্গে মিল রেখে গত ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই সপ্তাহের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর আবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ৩ জানুয়ারি এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে চলমান ছুটি বাড়িয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছিল। এ সময় অনলাইন ক্লাস চালু ছিল।
তবে সশরীরে ক্লাস না হলেও পরীক্ষাগুলো সশরীরে নিয়েছে বিভাগুলো। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, অফিস এবং গ্রন্থাগারও খোলা আছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক: একটি বই পেতে কাউকে যেন তার নিজ বাসস্থান থেকে এক মাইলের বেশি যেতে না হয় সেজন্য দেশের প্রতি এক মাইল দূরত্বে একটি করে গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরি স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে অনুষ্ঠিত ‘চতুর্থ শিল্প বিপ¬বে এলআইএস পেশাদারদের ভূমিকার উপর আন্তর্জাতিক সম্মেলনে’ উদ্বোধক এবং প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারা একথা জানান। সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতি।
এসময় তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিক থেকে শুরু করে সকল শিক্ষাস্তরে গ্রন্থাগার চালুর বিষয়টি আমাদের শিক্ষানীতিতে রয়েছে। আমাদের জাতীয় লক্ষ্য হবে সারাদেশে গ্রন্থাগার স্থাপন করা। যেন একটি বই পেতে কাউকে তার নিজ বাসস্থান থেকে এক মাইলের বেশি যেতে না হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গ্রন্থাগারের উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। গ্রন্থাগারিকদের জন্য বহুমুখি সুবিধা চালু হবে। গ্রন্থাগারের উন্নয়নের মাধ্যমে শিক্ষার সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রমে গ্রন্থাগারের প্রতি সরকারের সদিচ্ছা প্রকাশ পাচ্ছে। আমাদের প্রজন্ম যেন শিশু-কিশোর বয়স থেকেই গ্রন্থাগারের মাধ্যমে সৃজনশীল হয়ে গড়ে উঠতে পারে, উন্নত জাতি গঠনে ভূমিকা রাখে, সেই বিষটি সামনে রেখেই সরকারের কার্যক্রম চলেছে।
ডা. দীপু মনি বলেন, গ্রন্থাগারিকদের দীর্ঘদিনের একটি দাবি ছিল যে তাদের শিক্ষকের মর্যাদা দেওয়া হোক। এ বিষয়ে গত ৩১ মে জারিকৃত এমপিও নীতিমালায় বলা হয়েছে স্কুল-কলেজ এমপিও নীতিমালায় কলেজের গ্রন্থাগারিক পদটিকে প্রভাষক (গ্রন্থাগার) পদের মর্যদা দেওয়া হয়েছে। আর সহকারী গ্রন্থাগারিক পদটিকে সহকারি শিক্ষকের (গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান) সমান মর্যদা দেওয়া হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়েও যেন লাইব্রেরি করা হয়, সে বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া এগুলো যেন ডিজিটাল হয়, সে বিষয়েও চিন্তাভাবনা চলছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই সকলে যেন লাইব্রেরির সান্নিধ্যে থাকে। এজন্য দেশব্যাপী গ্রন্থাগার নির্মাণ করা হবে এবং এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীও বলেছেন। আমরা আশা করি দেশের প্রতি এক মাইল দূরত্বে একটি করে গ্রন্থাগার নির্মান করা হবে। আর আমাদের গ্রন্থাগারিকদের আরও প্রশিক্ষিত হতে হবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে। আমি মনে করি আপনাদের যে প্রাপ্যতা ছিল, তা পাওয়ার জন্য যেমন সংগ্রাম করেছেন এবং করছেন, ঠিক তেমনি উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের আরও ডেভলপ করা।
নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) রেসিডেন্সি কোর্সের মার্চ-২০২২ সেশনে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন ২৭ জন বিদেশি শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ২৪ জন নেপাল, দুই জন মালদ্বীপ এবং একজন ইয়েমেনের শিক্ষার্থী রয়েছেন।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) ডা. জি এম সাদিক হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা ছাড়পত্র এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) থেকে নিবন্ধন পাওয়ার পরই ভর্তি নিশ্চিত করা হবে।
প্রত্যেক বিদেশি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অস্থায়ী এ কোর্সে ভর্তির জন্য এক হাজার ৯০ টাকা মূল্যের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প একটি অঙ্গীকার গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয় আদেশে।
অফিস আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ‘কোর্স এবং টিউশন ফি’ জমা দিতে এবং প্রার্থীর স্বাক্ষরিত ভর্তির চিঠি অফিস থেকে সংগ্রহ করতেও বলা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক: উপাচার্য পদত্যাগ করলেই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সব সমস্যার সমাধান হবে না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শাবিপ্রবির সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী তার নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। এসময় একই বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের সব সমস্যার সমাধান করা হবে। তারা যেকোনো সময় সেসব বিষয় নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন। তবে, তাদের কয়েক দফা দাবি হঠাৎ এক দফায় কীভাবে পরিণত হল, সেটা বুঝতে পারলাম না। শিক্ষার্থীদের সমস্যা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে।
উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভিসির পদত্যাগ অন্য বিষয়। তাকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেন। তিনি পদত্যাগ করলেই তো সমস্যার সমাধান হবে না। এক ভিসি যাবেন, আরেক ভিসি আসবেন। সমস্যার জায়গায় সমস্যা থেকে যাবে।
শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনাকে দুঃখজনক মন্তব্য করে দীপু মনি বলেন, এ হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া এই পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বা যারাই দায়ী হোক, যাদেরই অবহেলা বা ত্রুটি-বিচ্যুতি পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আগে যা হয়ে গেছে, তা তো হয়েই গেছে। আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে কোনো ক্ষতি হোক সেটা আমরা চাই না। মামলার ফলে তাদের কোনো ক্ষতি হবে না।
তবে মামলা তুলে নেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে পরিষ্কার উত্তর দেননি তিনি।
এসময় মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদক: সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ভবনের বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের (বিএনসিইউ) সভাকক্ষে `পরিবর্তনশীল গতিপথ, রূপান্তরিত শিক্ষা` শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০১০ সালে আমরা একটি জাতীয় শিক্ষানীতি পেয়েছিলাম। এই শিক্ষানীতি প্রস্তুত করা হয়েছিল সংবিধানের চারটি মূলনীতি ও ১৯৭৪ সালের কুদরত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশনের ওপর ভিত্তি করে। শিক্ষার কাঠামো ঠিক রাখা, সমসাময়িক অসঙ্গতি-অনিয়ম দূর করার জন্য আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা শিক্ষা আইন। এই আইন চূড়ান্ত করার কাজ প্রায় শেষের দিকে। এ সংক্রান্ত কমিটি আইনটি পর্যালোচনা করেছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর কিছু পরিবর্তন-পরিমার্জন শেষে আইনটি সংসদে পাঠাতে পারব। এতে করে শিক্ষার মান উন্নয়নে দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় অপেক্ষার পর কাঙ্ক্ষিত এ আইনটি বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এ জন্য আমরা নতুন যে কারিকুলাম তৈরি করেছি, ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে বাস্তবায়নে যাওয়ার কথা। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেহেতু বন্ধ আছে, আমরা ভাবছি অনলাইনে হলেও এটা শুরু করব। পরে যখন সরাসরি পাঠদান শুরু হবে। তখন শ্রেণিকক্ষেই সেটি বাস্তবায়িত হবে।
দীপু মনি বলেন, আমাদের শিক্ষাকে রূপান্তরিত করতে হবে। কারণ বিশ্ব প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের সমস্ত গতিপথ সারাক্ষণ পরিবর্তিত হচ্ছে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়েই শিক্ষাক্রম নিয়ে কাজ করছি। আমরা সবাইকে মানসম্মত শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। জাতীয় উন্নয়নে দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদ প্রয়োজন। তাই প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষার প্রতিটি পর্যায় নিয়ে আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিবন্ধীদের জন্য কারিগরি নির্ভর শিক্ষা কাঠামো তৈরি করছি। আমরা চেষ্টা করছি যেন মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা থেকে কেউ বাদ না যায়। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী থেকে শুরু করে দুর্গম অঞ্চলের বাসিন্দাদেরও শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করছি। সবাই মিলে চেষ্টা করলে নিশ্চয় তা বাস্তবায়ন সম্ভব।
আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ইউনেস্কো আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, করোনায় আমরা খুবই কঠিন সময় পার করছি। শিক্ষা পরিবার মনে হয় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা চরম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। আমরা সকলেই এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছি। সবার সমন্বিত চেষ্টায় এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সক্ষম হবে বলে আমি মনে করি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব ও বিএনসিইউয়ের মহাসচিব আবু বকর ছিদ্দীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি মিজ বিয়াট্রিস কালদুন এবং বিএনসিইউয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি সোহেল ইমাম খান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদ আবুল মোমেন।